নিপীড়নের শিকার শান্তা বসলেন অনশনে

নিপীড়নের শিকার শান্তা বসলেন অনশনে

নিহার সরকার,প্রতিনিধিঃ    
ছাত্রী নিপীড়নেরে বিচার বিলম্বিত করার অভিযোগে এবং দ্রুত বিচারের দাবিতে আজ ৪ মার্চ সকাল ১১টা ৩০ মিনিট থেকে অনশনে বসেন নিপীড়নের শিকার শিক্ষার্থী আসমাউল হোসনা শান্তা ।
নিপীড়নের শিকার শান্তা বসলেন অনশনেগত ২৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনার অভিযোগে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা । আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করে আজিজুল হক শামীম শান্তাকে লাঞ্চিত করেছে । অপর দিকে অভিযুক্ত শামীম তা অস্বীকার করে বলেন এটা মিথ্যাচার ।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আন্দোলনের প্রেক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি ঘোষণা করেন যাদের ৩ কর্ম দিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলে প্রশাসন।

৩ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে না পেরে ৩ সপ্তাহ সময় বাড়ানোর জন্য প্রশাসনকে আবেদন করেছে তদন্ত কমিটি । কিন্তু প্রশাসন শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষিত ১০ কর্মদিসের মধ্যে দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন করে তা প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছে ।

আজ সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে একটি বিক্ষোভ মিছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এসে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা । তারা বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরণ অনশন চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেন । সেই প্রেক্ষিত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোঃ জাহিদুল কবীর, সহকারী প্রক্টর নজরুল ইসলাম , মাসুম হাওলাদার , শিক্ষক সমিতির সভাপতি তপন কুমার সরকার ও সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে যেতে এবং সুষ্ঠ বিচার হবে বলে বুঝান। শিক্ষার্থীরা তাতে আস্বস্থ না হয়ে বলেন উপাচার্যকেই ঘোষণা দিতে হবে বলতে হবে বিচারের কথা ।

এক পর্যায়ে শান্তা সহ আন্দোলনকারীদের কয়েকজনকে নিয়ে উপাচার্যের দপ্তরে যান প্রক্টর ।

উপাচার্য প্রফেসর ড. এ.এইচ.এম মোস্তাফিজুর রহমান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের আশ্বস্থ করেন এবং অনশনরত শিক্ষার্থী আসমাউল হোসনা শান্তা কে উপাচার্য জুস খাইয়ে অনশন ভাঙ্গান এবং আশ্বাস দেন সুষ্ঠ বিচার করার।

অন্যদিকে অভিযুক্ত আজিজুল হক শামীম বলেন তদন্তে অভিযোগ মিথ্যে প্রমানিত হলে শান্তাকে মিথ্যাচারের জন্য ও মানহানিকর বক্তব্যের জন্য বিচার করতে হবে । কেননা আমি কোন লাঞ্চনা করি নি ।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment